Sunday, August 27, 2017

বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ - (১ থেকে ১০ খণ্ড)

বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ - 

(১ থেকে ১০ খণ্ড) 



বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ - (১ থেকে ১০ খণ্ড)  (ফ্রি ডাউনলোড)

Author: Abu Abdullah Muhammad Ibn Ismail al-Bukhari Al-Jufi (Rahmatullah)


Agargao, Sher-E-Bangla Nagar, Dhaka 1207
Phone:+880 29115010
Fax: 880-2-9144235
E-mail: info@islamicfoundationbd.org
You will need Adobe Reader to read the hadith book. You can download this free software from here http://get.adobe.com/reader/

বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ -ডাউনলোড - ১ম খন্ড











সব খণ্ড একসাথে ডাউনলোড করুন - Bukhari Sharif.zip [135 MB]

 

অথবা

 

সব খণ্ড একসাথে ডাউনলোড করুন - Bukhari Sharif.zip [135 MB]



Friday, August 4, 2017

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (২য় পর্ব)

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (২য় পর্ব)

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (২য় পর্ব)

{প্রশ্ন: ১০৬} জাদুর আভিধানিক এবং পারিভাষিক অর্থ কী?
উত্তর: আভিধানিক অর্থ হলো: সূক্ষ্ম কারচুপি। পারিভাষিক অর্থ হলো: মন্ত্র পাঠ করে ঝাড়া, গিরায় ফুঁক দেওয়া, তাবিজ করা এবং ঐ ধরনের অন্যান্য কাজ করা যা দ্বারা অন্যের ক্বলবে, শরীরে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আর ঐ প্রতিক্রিয়ায় কেউ রোগাক্রান্ত হয়, পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়, কারো মৃত্যু ঘটে কিংবা স্বামী-স্ত্রী পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)

بسم الله الرحمن الرحيم
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
ভুমিকা
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। শ্রেষ্ঠ রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবারবর্গ এবং সমস্ত সাহাবীদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক...অতঃপর,
তাওহীদ বিষয়ক এ প্রশ্নোত্তরসমূহ চয়ন করেছি মহান আল্লাহর কালাম ও তাঁর রসূলের বাণী অতঃপর উত্তম জাতীর বিশিষ্ট আলেমগণের আলোচিত মাসয়ালা-মাসায়েল থেকে। আর আমাদের এ পুস্তিকা সংকলনের সম্মানজনক সূযোগ করে দিয়েছে রিয়াদ  মহানগরীর শাফা এলাকার দাওয়াত ও নির্দেশনা সহযোগী অফিসের জ্ঞান-গবেষণা বিভাগ। উদ্দেশ্য হচ্ছে পুস্তিকা প্রণয়ন করে মহামর্যাদাবান আল্লাহর দীন গ্রহণকারীদের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করা এবং তা থেকে অন্যান্য মুসলিমদের ব্যাপাক ফায়দা অর্জন। এ পুস্তিকার নাম দেয়া’’ (التوحيد بين السائل والمجيب) [বা প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ]।
আমি যেহেতু জ্ঞান-গবেষণা বিভাগের সদস্য, সেহেতু এ পুস্তকটি প্রণয়ন করেছি শিক্ষাদানের সিলেবাস হিসেবে।

Wednesday, August 2, 2017

ইসলামে গনতন্ত্র হারাম, গনতন্ত্র একটি কুফরী মতবাদ

ইসলামে গনতন্ত্র হারাম, গনতন্ত্র একটি কুফরী মতবাদ 
(কোর'আন হাদীস দ্বার প্রমানিত)

 আমাদের সংবিধানেই বলা আছে "আল্লাহর উপর পূর্ন আস্হা বিস্বাস" তাছাড়া আমাদের সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার এবং সকল সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, একইসঙ্গে ইসলামকে প্রধান ধর্ম ঘোষণা করে নিজেকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে
 ইসলামী আইন গনতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্ট্রা করা হলো
 *রসূল(সাঃ) ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গণতন্ত্রকে বা প্রচলিত অন্য কোনো ব্যবস্থাপনাকে মেনে নেননি নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা, কারণ তিঁনি কিতাব প্রাপ্ত হয়েছেন আল্লাহর কাছ থেকে,এ্যারিষ্টটলের কাছ থেকে নয় বা রোমের বাদশাহের কাছ থেকে নয়
 *তাই ইসলামী রাজনিতী তে গনতন্ত্র মেনে নেয়া যায় না

মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেয়ার বিধান

*মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেয়ার বিধান*
🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় আল্লাহর তারীফ করতেন, দরুদ পড়তেন, কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতেন এবং কিছু ওয়াজ-নছীহত করতেন নবীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ
*“আমি সব নবীকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে” (সূরা ইবরাহীম: )*

রসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতৃভাষা যেহেতু আরবী ছিল এবং ছাহাবীদেরও ভাষা আরবী ছিল, তাই তিনি আরবীতেই তাদেরকে নছীহত করতেন এখন যারা নবীজির নায়েব হয়ে জুমার খুতবা দিবেন তাদেরকেও উল্লেখিত আয়াত হাদীছ অনুসারে তাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়াটা শরীয়ত সম্মত এবং যুক্তি সংগত
💠এই কারণেই ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন: প্রত্যেক খতীবকে জুমার সময় তাঁর মাতৃভাষায় ওয়াজ করা ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য (তানক্বীহুর রুওয়াত /২৬৪)
💠আল্লামা তাহাভী হানাফী বলেন: জুমার খুতবা আরবী জানলেও ফারসী ভাষায়ও চলবে (হাশিয়া তাহতাবী আলা মারাক্বিল ফালাহ ২৭)
💠আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী হানাফী (রহ.) বলেন: শ্রোতাদেরকে তাদের মাতৃভাষায় খুতবা বুঝিয়ে দেয়া জায়েজ (মাজমূআহ ফাতাওয়া /২৪৫)
💠হানাফী ফিক্বহ গ্রন্থ নিহায়া, মুজতাবা, ফাতাওয়া সিরাজিয়্যাহ, মুহীত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে যে, ইমাম আবূ হানীফার মতে, ফারসী ভাষাতে জুমার খুতবা দেয়া জায়েজ
💠হানাফী ফতোয়ার কিতাব শামীতে আছে, আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত নয়
💠হানাফী ফিকহ গ্রন্থ হিদায়ায় আছে, প্রত্যেক ভাষায় খুতবার নছীহত চলতে পারে (কিতাবুল জুমআহ ৫৫-৫৬) (আলোচনা দ্র: আইনী তোহফা সলাতে মুস্তফা /৯৮-৯৯)

*খুতবারা আগে বয়ান একটি বিদআত:*
নিজ ভাষায় খুতবা না দেয়ার কারণে যেহেতু তা মানুষের বোধগম্য হয় না এজন্যই এই খুতবার আগে খতীবগণ বয়ানের ব্যবস্থা রেখেছেন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম বিদআত কারণ খুতবা দানের পূর্বে বয়ান দেয়া এবং ইহাকে এভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আদৌ প্রমাণিত নয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার পূর্বে কখনো ধরণের বয়ান দেন নি দিতে বলেছেন বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না
এজন্যই সঊদী আরবের বরেণ্য মুফতী শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহ:)কে মাতৃভাষায় খুতবা প্রদান সম্পর্কে সওয়াল করা হলে তিনি তা সরাসরি জায়েজ বলে মন্তব্য করেন এবং একথা স্পষ্ট ভাবে বলেন যে, খতীবকে নিজ ভাষায় খুতবা দিতে হবে (দেখুন: শাইখ ইবনে উসাইমীনের ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম)
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু জামে মসজিদে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়া হয়ে থাকে বস্তুত: এটাই সুন্নত এর বিপরীত সুন্নত বিরোধী কাজ যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক ইলম দান করুন এবং যাবতীয় বিদআত পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন (আমীন)

--------------------------------------