Friday, March 31, 2017

আল্লাহর উপর ভরসা

আল্লাহর উপর ভরসা


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

allah অনুবাদকঃ শাইখ মুহা: আবদুল্লাহ আল কাফী
আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা ইসলামে একটি বিরাট বিষয়। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। আল্লাহর প্রতি ভরসা ছাড়া কোন বান্দাই কোন মূহুর্ত অতিবাহিত করতে পারে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদের সাথে সম্পর্ক গাড় ও গভীর হয়। আল্লাহ্ বলেন:

وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ

“আর ভরসা কর সেই জীবিত সত্বার (আল্লাহর) উপর, যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না।” [সূরা ফুরক্বান-৫৮]

ইসলাম প্রচারক ভাই! প্রথমে তাওহীদের দাওয়াত দিন

ইসলাম প্রচারক ভাই! প্রথমে তাওহীদের দাওয়াত দিন

  


ভূমিকা
সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর জন্য, আমরা তারই প্রশংসা করি, তার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তার কাছেই ক্ষমা চাই। আর আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর নিকট আমাদের অন্তরসমূহের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং খারাপ আমলের পরিণতি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেবে তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করে তাকে সঠিক পথ দেখানোর কেউ নাই। আর আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নাই। তিনি একক তার কোন শরিক নাই। আর আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ ١٠٢ [سورة آل عمران: 102]
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর আর তোমরা মুসলমান হওয়া ছাড়া মারা যেও না।  [সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০২]

বইঃ নামাযে আমরা কি পড়ি ?

বইঃ নামাযে আমরা কি পড়ি ?


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

147
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: নামাযে আমরা আরবি ভাষায় কি বলি, তা কিছুই বুঝিনা কারণ আমরা বাংলাভাষী। আমাদের তা বুঝতে হলে তার বাংলা জানতে হবে। কারন কোন বিষয় না বুঝলে তা মানুষের কাছে গুরুত্বহীন মনে হয় এবং এতে একাগ্রতা নষ্ট হয় আর ইবাদত করতে হয় একাগ্রতার সাথে। আর নামাযে একাগ্রতা সৃষ্টি হাবে তাখনই যখন মানুষ নামাযে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে যা বলছে তা বুঝে শুনে বলে। নামাযে একাগ্রতা সৃষ্টির জন্য আমাদের সূরা ও দোয়া গুলো বুঝে পরতে হবে। আশাকরি এই ছোট্ট বইটি নামাযে আমরা যা পড়ি তা বুঝার  জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
নামাযে আমরা কি পড়ি ? – QuranerAlo Server

 [1.96 MB]

Thursday, March 30, 2017

বইঃ য’ঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ-১ম-৪র্থ খন্ড

বইঃ য’ঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ-১ম-৪র্থ খন্ড

মূলঃ 
আল্লামা মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) 
অনুবাদঃ
 আবূ শিফা মুহাম্মাদ আকমাল হুসাইন

প্রকাশনায়: 
তাওহীদ পাবলিকেশন্স হাজী আব্দুল্লাহ সরকার লেন, বংশাল, ঢাকা।

য’ঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ -১ম খন্ড--  ডাউনলোড করুন

য’ঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ -২য় খন্ড--   ডাউনলোড করুন

য’ঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ -৩য় খন্ড-- ডাউনলোড করুন

য’ঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ -৪র্থ খন্ড--  ডাউনলোড করুন

কবর যিয়ারত ও কবরবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন

কবর যিয়ারত ও কবরবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন

 



সূচীপত্র
ক্রম       শিরোনাম
 মূল প্রশ্ন
 জবাবের সূচনা
 কবর যিয়ারতের শরঈ পদ্ধতি
 যে ব্যক্তি কোনো নবী অথবা সৎকর্মপরায়ন ব্যক্তির কবরের কাছে আসে ও তার কাছে চায় এবং তার দ্বারা উদ্ধার প্রার্থনা করে তার বিধান
 জীবিত অথবা মৃতের কাছ থেকে দোআ প্রার্থনা 
 সম্মান ও মর্যাদার দ্বারা ওসীলা করা
 যে ব্যক্তি বিপদ অথবা ভীত হয়ে তার পীরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে, তার বিধান
 শির্কের প্রথম প্রকাশ
 কবর স্পর্শ করা ও চুম্বন করা এবং গালের পার্শ্বদেশ কবরের ওপর লাগানো এর বিধান বর্ণনা
১০ বড় বড় পীরদের নিকট মাথা নোয়ানো ও মাটি চুম্বন করার বিধান
১১ কুতুব, গাউস ও পূণ্যবান ব্যক্তির বাস্তবতা  
১২ খিযির আলাইহিস সালাম সম্পর্কে চূড়ান্ত বক্তব্য
১৩ যুগের সর্বোত্তম ব্যক্তিদের কুতুব ও গাউস নামকরণের বিধান



পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
[মূল প্রশ্ন]
ইমাম আহমাদ ইবন তাইমিয়্যাহ রহ.-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল: যে ব্যক্তি কবর যিয়ারত করে ও কবরবাসীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে কোনো রোগের জন্য অথবা ঘোড়ার আরোগ্যের জন্য অথবা কোনো বাহনের জন্য, তার মাধ্যমে রোগ দূরীকরনের প্রার্থনা করে, আর সে বলে, হে আমার নেতা; আমি তোমার আশ্রয়ে আছি, আমি তোমার ছত্র-ছায়ায় আছি, অমুক আমার ওপর যুলুম করেছে, অমুক আমাকে কষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা করেছে সে আরও বল, কবরবাসী আল্লাহ ও তার মাঝে মাধ্যম হবে। আবার তাদের কেউ কেউ ওলীদের মসজিদ খানকা ও তাদের জীবিত ও মৃত পীরদের নামে টাকা, উট, ছাগল, ভেড়া, তেল প্রভৃতি মানত করে সে বলে, যদি আমার সন্তান সুস্থ হয় তবে আমার পীরের জন্য এটা, এটা এবং অনুরুপ কিছু। আবার তাদের কেউ কেউ তার পীরের দ্বারা উদ্ধার প্রার্থনা করে ঐ অবস্থায় তার অন্তর যেন দৃঢ় থাকে আবার কেউ কেউ তার পীরের কাছে আসে এবং কবর স্পর্শ করে এবং তার কবরের মাটিতে চেহারা ঘর্ষণ করে, হাত দ্বারা কবরকে মাসেহ করে ও তা দিয়ে তার মুখ মাসেহ করে, অনুরূপ আরো অন্য কিছুও করে থাকে বার তাদের কেউ কেউ তার প্রয়োজন পূরণের ইচ্ছা করে তার পীরের কবরের কাছে গিয়ে বলে, হে অমুক! আপনার বরকতে (তা হোক) অথবা বলে আমার প্রয়োজনটা আল্লাহ এবং পীরের বরকতে পূর্ণ হয়েছে। আবার তাদের কেউ কেউ শামা গানের আমল করে এবং কবরের কাছে যায়, অতঃপর পীরের সামনে মাথা নত করে ও মাটিতে সাজদায় লুটিয়ে পড়ে। আবার তাদের কেউ কেউ বলে থাকে, সেখানে বাস্তবেই কোনো পূর্ণ গাউছ কুতুবের অস্তিত্ব আছে সুতরাং আপনি আমাদেরকে ফাতওয়া দিন, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন আর এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। 
[জবাবের সূচনা]
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. জবাবে বলেন,
সমস্ত প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রবের জন্য, যে দীন নিয়ে আল্লাহ তাঁর রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন এবং তাঁর কিতাবসমূহ অবতীর্ণ করেছেন তা হলো: একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা, যার কোনো শরীক নেই। আর তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা এবং তাঁর ওপর ভরসা করা। আর তার কাছে কল্যাণ লাভের জন্য এবং অনিষ্ট দূরীকরণের জন্য দোআ করা। যেমনিভাবে আল্লাহ তাআলা বলেন,

Wednesday, March 29, 2017

বই-সোনালী পাতা

বই-সোনালী পাতা


মূলঃ
আব্দুল মালেক মুজাহিদ
অনুবাদঃ
আব্দুল্লাহিল হাদী মুহাঃ ইউসুফ
লিসান্স,মদীনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
সৌদি আরব

বইটি pdf Format এ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন


বই-ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ ও অপপ্রচারের জবাব

বই-ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আরোপিত
অভিযোগ ও অপপ্রচারের জবাব


ডাঃ জাকির নায়েকের সমালোচনার জবাবে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম লেখা এক প্রমাণ্য গ্রন্থ

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ডঃ জাকির নায়েক মুসলিম বিশ্বের একজন প্রখ্যাত দায়ী। বিশেষ করে যখন আধুনিক শিক্ষিত নাস্তিক-মুরতাদ ও বিধর্মী আলেমগনগণ ইসলামের বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দ্বার করিয়েছিল, সেই মুহুর্তে প্রয়োজন ছিল তাদের মতই শিক্ষায় শিক্ষিত একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি।

এতোদিন ডাঃ জাকির নায়েক শুধু আলোচনার বিষয় থাকলেও এখন আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনার বিষয়ও বটে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন ধরনের অসত্য এবং ভিত্তিহীন সমালোচনা করা হচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর এই করুন সময়ে আমাদের কি করনীয় এবং ডাঃ জাকির নায়েকের সমালোচনার জবাবে এই প্রথম বই “ডাঃ জাকির নায়েক এবং আমরা” বইটি প্রকাশ করা হল। শত সহস্র ফিতনা ফাসাদের সময়ে যদি কেউ যদি সত্যের ওপর থাকেন, সত্য কথা বলেন তাহলে তো তাঁর বিরোধিতা হবেই। তিনি খ্রিস্টান, হিন্দু ধর্মের  ভুল প্রমান করে দিয়ে উগ্র হিন্দু ও খ্রিস্টান ও মুসলিম নামধারী ধর্ম ব্যবসায়ীদের আক্রশের লক্ষ্য বস্তুতে পরিনত হয়েছেন।

এই বইটিতে যে সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছেঃ

  • ডাঃ জাকির নায়েক ও তার কার্যক্রম

  • ডাঃ জাকির নায়েকের ব্যাপারে অভিযোগ সমূহের গতি-প্রকৃতি

  • সমালোচকদের অভিযোগ ও তার জবাব

  • উত্তর দেওয়া হয়েছে যারা বলেন “জাকির নায়েক আলেম নন।” “তিনি পড়াশোনা করেছেন খৃষ্টান মিশনারী ও হিন্দুদের কলেজে” “(কুরান হাদিস নিয়ে অধ্যয়ন করার জন্য একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রয়োজন কিন্তু) তার কোন শিক্ষক নেই।” “পর্দার ব্যাপারে ডাঃ জাকির নায়েকের শিথীলতা। তার অনুষ্ঠানে পুরুষ-মহিলাদের অংশগ্রহণ।” “ডাঃ জাকির নায়েকের অপব্যখ্যাঃ প্যান্ট-শার্ট-টাই পড়া জায়েজ”

  • তিনি গায়রে মুকাল্লিদ (আহলে হাদীস) সম্প্রদায়ের লোক হিসাবে এ সম্প্রদায়ের মতাদর্শের প্রছার-প্রশারকে নিজের মানুফেক্ট নির্বাচন করেন

  • বিভ্রান্তি গুলো যেভাবে ছড়ায়।

  • ডাঃ জাকির নায়েক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

কোন দল মত এর পক্ষে থেকে নয়, বরং একজন সাধারণ মুসলিম হিসাবে চিন্তা করুন, যে বেক্তি কত সুন্দর ভাবে যুক্তি দিয়ে মানুষকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিচ্ছেন, যে বেক্তি কোটি কোটি মুসলিম কে ইসলাম নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন,  বিধর্মীদের কাছে ইসলামদের ভুল ধারণা দূর করেছেন, কত  বিধর্মীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়েছেন এবং যারা তার বিরুদ্ধে বলেছেন তারা কতটূকু ইসলামদের জন্য কাজ করেছেন? তাদের কি অধিকার আছে এই ফেতনা সৃষ্টি করার?  প্রশ্নের উত্তর আপনাদের উপর ছেরে দেওয়া হল।


বইটি pdf Format এ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

Sunday, March 26, 2017

কুরআন মাজিদে শব্দ খোঁজার জন্য ব্যবহার করুন “ZEKR-জিকর” নামের অসাধারণ সফটওয়্যার।

কুরআন মাজিদে শব্দ খোঁজার জন্য ব্যবহার করুন “ZEKR-জিকর” 

নামের অসাধারণ সফটওয়্যার।



বাংলা ভাষায়,আরবী ভাষায় এবং ইংরেজি ভাষায় কুরআন মাজিদে যে কোন শব্দ/Word/كلمة ,বাক্য/Sentence/جملة, খোঁজার জন্য ব্যবহার করুন “জিকর” নামে অসাধারণ সফটওয়্যার।
এই Software টির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখান থেকে আপনি বাংলা, ইংরেজি ও আরবি সহ প্রায় ৪০টি ভাষায় কুরআন পড়া ও Search করার সুবিধা পাবেন। যেমনঃ কুরআন থেকে আপনি জানতে চান যে নামাজ সম্পর্কে কি কি আয়াত আছে। এর জন্য আপনি নামাজ লিখে সার্চ দিলে নামাজ সম্পর্কিত সকল আয়াত মুহূর্তের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। 


টিউটোরিয়ালঃ


জিকর Software টি আপনার পিসিতে Install করার  পূর্বেই  আপনাকে আরও তিনটি কাজ করে নিতে হবে।১. জাভা সফ্টওয়ার Install না থাকলে,Install করে নিতে হবে।২.বাংলা ফন্ট Install করা না থাকলে Install করে নিতে হবে।৩.বাংলায় আনুবাদ কৃত যে  কোন  অনুুবাদকের একটি কপি ডাউনলোড করে রেডি রাখতে হবে।এই  গুলি  আপনার পিসিতে  না থাকলে, নীচের থেকে ডাউনলোড করে নিন।

১. প্রথমে নিচের ডাউনলোড লিংক এ ক্লিক করে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। (এটি একটি ফ্রিওয়্যার তাই সিরিয়ালের দরকার নেই)

ইব্রাহিম (আলাইহিস্সালাম) এর সহীহ ঘটনা শুনুন-Part-02/Stories of the Prophet Ibrahim-Saifuddin Belal madani

ইব্রাহিম (আলাইহিস্সালাম) এর সহীহ ঘটনা শুনুন-Part-01/Stories of the Prophet Ibrahim-Saifuddin Belal madani

Saturday, March 25, 2017

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাক্বলীদ – পর্ব ১

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাক্বলীদ পর্ব ১


লেখকঃ শরীফুল ইসলাম
সম্পাদনাঃ শাবাব শাহরিয়ার খান

ভূমিকা :

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, যা আল্লাহ তাআলা বিশ্বমানবতার জন্য দান করেছেন। আর তাকে বাস্তবায়ন করার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন এবং ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান অহী মারফত জানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং অহী-র বিধানই একমাত্র অভ্রান্ত জীবনবিধান। বর্তমান বিশ্বের প্রায় দেড়শত কোটি মুসলমান বসবাস করে। তারা বিশ্বের অন্যান্য জাতির সাথে তাল মিলিয়ে সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এগিয়ে চলেছে। পিছিয়ে পড়েছে শুধু আল্লাহর বিধান পালনে। ফলে মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও অনেকের আচরণ অমুসলিম-কাফেরদের সাথে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। আবার যারা ইসলামের বিধান বাস্তবায়নে নিয়োজিত, তারা অধিকাংশই শতধাবিভক্ত। বিভিন্ন তরীকা ও মাযহাবের বেড়াজালে নিজেদেরকে আবদ্ধ রেখে, পরস্পরে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করছে। নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের অন্ধানুসরণের কারণে আল্লাহ প্রদত্ত অহী-র বিধানকে বাদ দিয়ে মাযহাবী গোঁড়ামিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। তারা নিজেদেরকে মাযহাবের প্রকৃত অনুসারী দাবী করলেও মূলতঃ তারা অনুসরণীয় ইমামগণের কথাকে উপেক্ষা করে তাঁদের অবমাননা করছে। কারণ প্রত্যেক ইমামই তাঁদের তাক্বলীদ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এ নিবন্ধে এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।

তাক্বলীদের শাব্দিক অর্থ : 

তাক্বলীদ’ (التقليدশব্দটি ‘ক্বালাদাতুন’ (قلادةতে গৃহীত। যার অর্থ কণ্ঠহার বা রশি। যেমন বলা হয়قَلَّدَ الْبَعِيْرَ ‘সে উটের গলায় রশি বেঁধেছে। সেখান থেকে ‘মুক্বাল্লিদ’ (مقلد) , যিনি কারো আনুগত্যের রশি নিজের গলায় বেঁধে নিয়েছেন।

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাক্বলীদ – পর্ব ২

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাক্বলীদ পর্ব ২

লেখকঃ শরীফুল ইসলাম
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।


তাক্বলীদ কার জন্য বৈধ ও কার জন্য অবৈধ :

মহান আল্লাহ কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যাবতীয় বিধি-বিধান দানের মাধ্যমে দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। রাসূলুললাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণ ইসলামের বিধান মানার ক্ষেত্রে রাসূলুললাহ (ছাঃ) ব্যতীত অন্য কারো তাক্বলীদ করতেন না। অনুরূপভাবে তাবেঈগণও নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির তাক্বলীদ না করে কেবলমাত্র কুরআন ও সুন্নাহর ইত্তেবা করতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হ, বর্তমান যুগে মুসলমানগণ ইসলামের বিধান থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। এক্ষেত্রে মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত :

 উচ্চ জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, যাঁরা মুজতাহিদ নামে খ্যাত। তাঁদের জন্য অন্য কারো তাক্বলীদ করা বৈধ নয়।

 মধ্যম জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, যাঁরা তাফসীর, হাদীছ, ফিক্বহ এবং আক্বীদায় যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং দলীল গ্রহণের ক্ষেত্রে ছহীহ ও যঈফ হাদীছের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম, তাঁদের জন্যও অন্য কারো তাক্বলীদ করা বৈধ নয়।

 সাধারণ মানুষ, যাদের কুরআন ও সুন্নাহর কোন জ্ঞান নেই, তাদের জন্য উপরোক্ত দুই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত যেকোন আলেমের নিকট জিজ্ঞেস করা বৈধ। কারণ আল্লাহ বলেছেন-

فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لاَ تَعْلَمُوْنَ.

  ‘তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর’ (নাহল ৪৩)

বিভিন্ন প্রকারের “খতম” এর বিদ’আত

বিভিন্ন প্রকারের খতমএর বিদআত


বিভিন্ন প্রকারের খতমএর বিদআত

আমাদের সমাজে বিভিন্ন প্রকারের খতমপ্রচলিত আছে। এধরনের খতমেরনিয়ম, ফজীলত ইত্যাদির বিবরণ মকসুদুল মোমিনীন,নাফেউল খালায়েক ইত্যাদি বিভিন্ন বইয়ে পাওয়া যায়। সাধারণত, দুটি কারণে খতমপাঠ করা হয়:

(
১) বিভিন্ন বিপদাপদ কাটানো বা জাগতিক ফল লাভ;

(
২) মৃতের জন্য সাওয়াব পাঠানো।